Logo Logo

রাশিয়ার ভেতরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ছাড়পত্র পেল ইউক্রেন


ভোরের বাণী

Splash Image

রাশিয়ার ভেতরে হামলার অনুমতি পেয়ে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নতুন ও ভয়াবহ মোড় নিয়েছে। সোমবার বার্লিনে ইউরোপীয় ফোরামে জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ ঘোষণা দেন, ইউক্রেনকে সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহারে আর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।


বিজ্ঞাপন


এর ফলে ইউক্রেন এখন সরাসরি রাশিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক ঘাঁটি ও কৌশলগত অবস্থানে আঘাত হানতে পারবে।

এই সিদ্ধান্ত শুধু জার্মানির নয়, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক পশ্চিমা মিত্র দেশও ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের সবুজ সংকেত দিয়েছে। সাম্প্রতিক রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে ২০ জনের বেশি নাগরিক নিহত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্তকে একটি পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

জার্মানির এই নতুন অবস্থান স্পষ্টভাবে তাদের পূর্ববর্তী চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের নীতির বিপরীত। স্কোলজ বরাবরই এমন আক্রমণের বিরুদ্ধে ছিলেন। তবে এখনো জার্মানি তাদের নিজস্ব অত্যাধুনিক টরাস ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে দেবে কি না, তা নিশ্চিত করেনি।

এদিকে মস্কো থেকে এসেছে কড়া প্রতিক্রিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “পশ্চিমা অস্ত্র দিয়ে আমাদের অভ্যন্তরে হামলা হলে, সেটি ন্যাটোর সরাসরি আগ্রাসন হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পথও খোলা রয়েছে।”

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ একে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক পদক্ষেপ’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের এই নীতিগত পরিবর্তন শান্তিপ্রক্রিয়ার শেষ পেরেক হতে পারে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার ভাষায়, “রুশ নেতৃত্বের ওপর যথাযথ আন্তর্জাতিক চাপ না আসলে, এই বর্বরতা থামবে না।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার আচরণকে ‘পাগলামি’ আখ্যা দিলেও ইউক্রেনকেও ‘উস্কানিমূলক’ আচরণে অভিযুক্ত করেছেন। তবে রিপাবলিকান দলের একাংশ ট্রাম্পের এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নয়; বরং তারা ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা এবং রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে কথা বলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভেতরে হামলার অনুমতি দেওয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিকে একেবারে অন্য এক স্তরে নিয়ে যাচ্ছে। পারমাণবিক হুমকি ও কূটনৈতিক জটিলতা বাড়ার ফলে, শান্তিপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনা এখন অনেকটাই অনিশ্চিত।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...