বিজ্ঞাপন
আম মৌসুম মানেই বাজারে রঙিন, লোভনীয় আমের সমাহার। কিন্তু এই মিষ্টি স্বাদের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে ভয়ংকর বিষ! সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাজারে বিক্রি হওয়া আমে ফরমালিন, কার্বাইড এবং সালফার মেশানোর প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। অনেকেই না জেনেই প্রতিদিন এই বিষাক্ত উপাদান খাচ্ছেন, যা ধীরে ধীরে শরীরে নানা জটিল রোগের জন্ম দিচ্ছে।
আম পাকার প্রাকৃতিক নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দ্রুত লাভের আশায় আমে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করছেন। এটি পাথর কাটার উপাদান হলেও ফল পাকানোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। কার্বাইডের প্রভাবে আম দেখতে যেমন চকচকে ও আকর্ষণীয় হয়, ঠিক ততটাই বিষাক্ত হয়ে ওঠে ভেতরে। এটি পাকস্থলী, লিভার ও স্নায়ুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
অন্যদিকে, ফরমালিন মূলত মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়, যা কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ফল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে আমে স্প্রে করে। ফরমালিনে থাকা ফরমালডিহাইড গ্যাস ক্যান্সার, কিডনি সমস্যা এবং চোখের জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। সালফার, যা সাধারণত ফলের রঙ উজ্জ্বল করতে ব্যবহৃত হয়, সেটিও ত্বকের অ্যালার্জি ও শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করতে সক্ষম।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত এসব রাসায়নিকযুক্ত ফল গ্রহণ করলে দীর্ঘমেয়াদে লিভার, কিডনি, এবং হরমোনাল ভারসাম্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক সময় দেখা যায় শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয় বা গর্ভবতী নারীদের গর্ভের শিশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
প্রশ্ন উঠছে—ব্যবসায়ীরা কেন এমনটি করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আম যাতে দ্রুত পাকে এবং পরিবহনের সময় পচে না যায়, সেজন্য এসব রাসায়নিক মেশানো হয়। মৌসুমের শুরুতেই অধিক চাহিদা থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে ফল পাকিয়ে বাজারজাত করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা আমে রাসায়নিক প্রয়োগ করেন। অথচ এসব কাজ স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সাধারণ ভোক্তা হিসেবে এই বিষাক্ত ফল শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন হলেও কিছু লক্ষণ রয়েছে। কেমিকেল যুক্ত আম সাধারণত খুব উজ্জ্বল হয়, প্রাকৃতিক গন্ধের পরিবর্তে এক ধরনের রাসায়নিক গন্ধ থাকে। পানি দিয়ে ধুলে সাদা ফেনা ওঠে এবং খেতে গেলে স্বাদে মিষ্টির ঘাটতি দেখা যায়।
আমে মিষ্টি না বিষ? বাজারের আমে কী মেশানো হচ্ছে জানেন তো !
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত এসব রাসায়নিকযুক্ত ফল গ্রহণ করলে দীর্ঘমেয়াদে লিভার, কিডনি, এবং হরমোনাল ভারসাম্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক সময় দেখা যায় শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয় বা গর্ভবতী নারীদের গর্ভের শিশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এই অবস্থায় করণীয় হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিচিত উৎস থেকে আম কেনা, ফল কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখা, এবং সম্ভব হলে দেশি কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করাই নিরাপদ উপায়। বাজারে কেনার সময় ফলের গন্ধ, রঙ ও ত্বকের স্বাভাবিকতা খেয়াল করা অত্যন্ত জরুরি।
সর্বোপরি, আম বাংলাদেশের অন্যতম প্রিয় ফল হলেও এর প্রকৃত স্বাদ পেতে হলে সচেতনতা জরুরি। শুধু চটকদার রঙ নয়, ফলের স্বাভাবিক গন্ধ ও উৎস যাচাই করে কিনলেই সুস্বাদু এবং নিরাপদ আম উপভোগ করা সম্ভব।
আমে মিষ্টি না বিষ? বাজারের আমে কী মেশানো হচ্ছে জানেন তো !
আম পাকার প্রাকৃতিক নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দ্রুত লাভের আশায় আমে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করছেন। এটি পাথর কাটার উপাদান হলেও ফল পাকানোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। কার্বাইডের প্রভাবে আম দেখতে যেমন চকচকে ও আকর্ষণীয় হয়, ঠিক ততটাই বিষাক্ত হয়ে ওঠে ভেতরে। এটি পাকস্থলী, লিভার ও স্নায়ুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...