ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এক অস্বাভাবিক এবং উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাতে চমকে উঠেছে আন্তর্জাতিক মহল। অনেকেই ধারণা করছিলেন যে ভারত প্রতিক্রিয়ায় সামরিক ব্যবস্থা নিতে পারে, তবে সরাসরি সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালানো হবে—এমন কিছুর আশঙ্কা ছিল না অনেকেরই।
ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলার লক্ষ্য ছিল "সন্ত্রাসী ঘাঁটি"। তারা পরিষ্কার করে জানিয়েছে, পাকিস্তানের কোনো সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়নি। ভারতের বক্তব্য অনুযায়ী, এই পদক্ষেপ ছিল আত্মরক্ষামূলক এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি সুনির্দিষ্ট বার্তা।
অন্যদিকে, পাকিস্তানও এর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলছে, পাল্টা জবাব দেওয়া হবে এবং সেই জবাব ভারতের পদক্ষেপের ধরন অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। ইসলামাবাদ স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই ধরনের আগ্রাসন মেনে নেওয়া হবে না এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি এক ভয়াবহ মোড় নিতে পারে। দুই দেশেরই পরমাণু অস্ত্র রয়েছে, যা সামান্য উত্তেজনাও বড় আকারের যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে দু’পক্ষই এক্ষেত্রে হিসাব করে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন তখন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ব্যস্ত, তবুও দক্ষিণ এশিয়ার এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষণ অনুযায়ী, দুই দেশের রাজনীতিবিদরাই নিজেদের জনগণকে বোঝাতে চাইবেন যে, তারা কৌশলগতভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, সেটাও এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
দক্ষিণ এশিয়ায় দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে এই উত্তেজনা যদি আরও বাড়ে, তবে তা শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
