ছবি- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিজ্ঞাপন
রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ছয়টি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ৩১ জুলাই নির্ধারণ করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিচারক জাকির হোসেন গালিব এই শুনানির দিন নির্ধারণ করেন এবং মামলাগুলো ঢাকার দুটি পৃথক বিশেষ জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ছয়টি মামলার মধ্যে তিনটি যাবে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ, এবং বাকি তিনটি বিশেষ জজ আদালত-৫ এ। এসব মামলায় ৩১ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এই মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন:
ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, শেখ রেহানার সন্তান ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক।
জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।
দুদকের অভিযোগপত্র অনুযায়ী, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে অনিয়মের মাধ্যমে ছয়টি প্লট বরাদ্দ পান। এ বিষয়ে দণ্ডবিধির ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে।
২০২২ সালের আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে প্রত্যেকে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেয় । একইভাবে শেখ রেহানা ও তার সন্তানদের নামেও একই আকারের প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।
চলতি বছরের ১২, ১৩, ১৪ জানুয়ারিতে দুদক পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করে।
-এমকে
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...