Logo Logo

ভালুকা

বিয়ের ৬ দিনের মাথায় নববধূর আত্মহত্যা


Splash Image

প্রতিকী ছবি

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাহিদা সুলতানা রূপা (১৮) নামের এক নববধূ। নিহত রূপা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার এক্তারপুর গ্রামের রওশন আলী ভূঁইয়ার মেয়ে।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই ভালুকার মেজরভিটা এলাকায় শাহ আলম (৪০) নামের এক হোটেল মেসিয়ারকে বিয়ে করেন রূপা। শাহ আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের খাটিংগা গ্রামের রুসমত আলীর ছেলে। তিনি ভালুকা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এবং বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সারাবেলা ফুড গার্ডেন নামক একটি খাবার হোটেলে কাজ করতেন।

বিয়ের পর থেকে ওই বাসায় স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসবাস করছিলেন। শাহ আলমের ভাষ্যমতে, রূপা পূর্বে আরও তিনবার বিবাহিত ছিলেন এবং প্রথম স্বামীর সংসারের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে, যাকে অন্যত্র পালক হিসেবে রেখে এসেছেন। এছাড়া রূপা দীর্ঘদিন ধরে মাথাব্যথাসহ মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকতেন এবং প্রায় সময় মনমরা হয়ে থাকতেন বলেও জানান তিনি।

গত ২৩ জুলাই (বুধবার) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্বামী শাহ আলম তার কর্মস্থলে চলে যান। সন্ধ্যার পর স্ত্রী রূপার সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া না পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসায় ফিরে আসেন তিনি। ঘরের দরজা ও জানালা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে সন্দেহ হলে পাশের রুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন, রূপা তার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে টিনশেড ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছেন।

পরে শাহ আলম বিষয়টি ভালুকা মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় এক যুবককে পাশের রুমের সিলিং বেয়ে ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দরজা খুলে রূপার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী শাহ আলম বাদী হয়ে ভালুকা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।

-সাখাওয়াত হোসেন সুমন, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...