বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে মঠবাড়িয়া থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার বকশীর ঘটিচোরা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে সোহেলকে আটক করে। আটক সোহেল পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাদেরপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং আব্দুল বারেক হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সোহেল নিজেকে কখনো সেনাবাহিনীর মেজর, কখনো ডিজিএফআই অফিসার পরিচয়ে পরিচয় দিত। সেনাবাহিনীর লোগোযুক্ত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে এলাকায় নির্ভরযোগ্যতা গড়ে তোলে। প্রায় পাঁচ মাস আগে মঠবাড়িয়ার গুলিশাখালী গ্রামের মৃত সেলিম হাওলাদারের মেয়ে ফারজানা আক্তারকে বিয়ে করেন সেনা অফিসার পরিচয়ে। পরবর্তীতে বকশীর ঘটিচোরা গ্রামে আরও একটি বিয়ে করেন একই পরিচয়ে।
সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলার সবুজ নগর গ্রামের গৃহবধূ হাসি রানী দাসের স্বামী হৃদয় দাসকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন সোহেল। প্রাথমিকভাবে হাসি রানী ১৫ হাজার টাকা প্রদান করলেও, পরবর্তীতে টাকা ফেরত না দিয়ে সোহেল টালবাহানা শুরু করেন। তখন থেকেই এলাকাজুড়ে সোহেলের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়।
স্থানীয়রা জানান, শুধু হাসি রানী নয়—এছাড়া আরও অন্তত ৬-৭ জনের কাছ থেকে একই কৌশলে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতারিত ভুক্তভোগী হাসি রানী দাস থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আটক ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা অভিযান চালিয়ে সোহেলকে আটক করি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বা ডিজিএফআইয়ের কোনও সদস্য নয়।”
তিনি আরও জানান, “ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।”
প্রতিবেদক - নাছরুল্লাহ আল কাফী, পিরোজপুর।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...