রানীশংকৈল উপজেলা কার্যালয়ের সামনে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ কর্মসূচির দৃশ্য
বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বলিদ্বারা ইউনিয়নের ঐতিহাসিক বলিদ্বারা দুর্গা মন্দিরে। অভিযোগ উঠেছে, ইউএনও শাফিউল মাজলুবিন রহমান স্থানীয় এক প্রবাসীর সুবিধার্থে মন্দিরের সীমানা ভেঙে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন।
পরদিন বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রানীশংকৈল উপজেলা কার্যালয়ের সামনে শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ইউএনও’র পদক্ষেপের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভ চলাকালে উপস্থিতরা স্লোগান দেন— “মন্দিরের জায়গা দখল কেন?”, “প্রশাসন জবাব দাও”, “রক্ষক হয়ে ভক্ষকের কাজ কেন?”
মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ইউএনও মন্দিরের বেড়া এবং সামনে রোপিত কলাগাছ কাটার নির্দেশ দেন শফিকুল নামের এক ব্যক্তিকে, যিনি প্রবাসীর জমি দেখভাল করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, মন্দিরের জমির পরিমাণ যাচাই না করেই ইউএনও একক সিদ্ধান্তে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।
বলিদ্বারা দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি সেবু লাল জানান, “এই মন্দিরে দেশ স্বাধীনের পর থেকেই পূজা হয়ে আসছে। অথচ ইউএনও আমাদের কিছু না জানিয়েই জোর করে রাস্তা নির্মাণ করতে চেয়েছেন। মন্দির কমিটি কখনোই জমি ছাড়বে না।”
বিষয়টি নিয়ে রানীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাফিউল মাজলুবিন রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “পাশেই একটি বাজার এবং অন্য পাশে মন্দির। মাঝখানে জমি নিয়ে জটিলতা ছিল। বর্তমানে তা সমাধান হয়েছে।” তবে তিনি এ নিয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সম্প্রতি দেশে বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসতবাড়ী - উপাসনালয় ঘিরে জমি দখলের অভিযোগ সামনে আসছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রশাসনের কিছু অংশকে ব্যবহার করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, যা ধর্মীয় সহনশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...