বিজ্ঞাপন
অভিযোগ অনুযায়ী, হাসপাতালের পছন্দের বাইরে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করানোয় তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন।
ভুক্তভোগী রোগী সোহাগী আক্তার (গাইনি ওয়ার্ডের ৮ নম্বর বেড), ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের স্ত্রী। রোগীর স্বামী জানান, শুক্রবার স্ত্রীকে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত রাতেই গর্ভের সন্তান মারা যায়। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু পরীক্ষা করা হয়, যা হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ রাতের বেলায় বন্ধ থাকায় নিকটস্থ ‘নিউক্লিয়ার ল্যাব’ থেকে করানো হয়।
জাহাঙ্গীরের অভিযোগ, শনিবার সকালে ডা. আইরিস রহমান রাউন্ডে এসে রিপোর্ট দেখে ক্ষুব্ধ হন এবং বলেন— ‘কিয়ামত হলেও এই রোগীর এখানে কোনো চিকিৎসা হবে না।’ এরপর তিনি রোগীর রক্তের লাইন ও স্যালাইন খুলে দেন। স্বজনদের অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি চিকিৎসা চালিয়ে যেতে রাজি হননি।
পাশের রোগী ও স্বজনরা জানান, এ ঘটনার সময় তারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তারা বলেন, ‘‘বাইরের রিপোর্টের কারণে একজন রোগীর চিকিৎসা বন্ধ—এমনটা অকল্পনীয়।’ তাদের দাবি, এর আগেও এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে একাধিক অভিযোগ প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি। তারা দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন আনিছুর রহমান বলেন, ‘‘বিষয়টি দুঃখজনক। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনপ্রিয়
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...