বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কাজির চর গ্রামের হাসমত উল্যার বাড়ির ছায়েদুল হকের ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার রাতেই বাড়ির রান্না ঘরের পিছনে একটি পেয়ারা গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়।
নিহত মাহফুজ ওই গ্রামের মো. ছায়েদুল হকের ছেলে এবং পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
নিহতের চাচা মো. মাফুউল্যা জানান, নিহত মাহফুজের দীর্ঘদিনের বন্ধু ছিল প্রবাসী সোহাগ ও তার ভাই সবুজ। সোহাগ বিদেশ যাওয়ার সময় তার স্ত্রী ও পরিবারের খোঁজখবর রাখতে মাহফুজকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার পর সোহাগের স্ত্রী আছমা আক্তারের সঙ্গে মাহফুজের মোবাইলে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু হয়। আছমা টিকটক ভিডিও ও অন্যান্য আপত্তিকর কনটেন্ট পাঠাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাফুউল্যা আরও বলেন, “কয়েক দিন আগে মাহফুজের ছোট বোন এসব ভিডিও দেখে পরিবারকে জানায়। পরে মাহফুজের বাবা সোহাগদের পরিবারকে বিষয়টি জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শুক্রবার বিকালে সোহাগের স্ত্রী আছমা, ভগ্নিপতি শাহীন ও ভাই সবুজ মাহফুজকে হত্যার হুমকি দেয়। এমনকি প্রবাসী সোহাগও ভিডিও কলে মাহফুজকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।”
নিহতের অন্য চাচা মো. আকবর হোসেন শিপন বলেন, “শুক্রবার রাতে মাহফুজ বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একপর্যায়ে তার মা রান্না ঘরের পিছনে পেয়ারা গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট।”
নিহতের বাবা ছায়েদুল হক অভিযোগ করে বলেন, “আমার ছেলের সঙ্গে সোহাগের স্ত্রী বারবার খারাপ প্রস্তাব দিতো। মাহফুজ প্রতিবাদ করায় শুক্রবার রাতে শাহীনের নেতৃত্বে তারা তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।”
এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সোহাগের স্ত্রীর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...