বিজ্ঞাপন
রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার মেইন ফিলার-১১৮৮ সংলগ্ন মহেশখোলা সীমান্ত চৌকি (বিওপি) এলাকায় এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। নিহতের নাম মো. আকরাম হোসেন (৩২)। তিনি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার বাঁকাকুড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দীনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ আগস্ট আকরাম অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস জেলায় প্রবেশ করেন। এ সময় অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর মেঘালয় পুলিশ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় ভারতীয় পুলিশ লাশ বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিজিবির সহযোগিতায় সেটি কলমাকান্দা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতের বড় ভাই শেখ ফরিদ জানান, “আমার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবর প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি। খবর পাওয়ার পর থেকেই বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশের সাথে যোগাযোগ রেখেছি, যেন দ্রুত লাশ দেশে আনা যায়। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ, বিএসএফ, বিজিবি এবং বাংলাদেশ পুলিশ লাশ ফেরত এনেছে—এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তবে আমাদের পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ। মা শোকে ভেঙে পড়েছেন। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, যেন আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা আর না ঘটে।”
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, “বিএসএফ ও বিজিবির সমন্বয়ে নিহত বাংলাদেশির লাশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...