বিজ্ঞাপন
বুধবার সকালে পায়রা বন্দর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে এফবি সাজেদা নামের একটি ট্রলারের মাঝি সোবহান ভাসমান অবস্থায় মোরশেদকে দেখতে পান। পরে তাকে এফবি বায়েজিদ ট্রলারে হস্তান্তর করা হয়।
জেলে সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে কয়েকদিন আগে ১৯ জন জেলেকে নিয়ে একটি ট্রলার সাগরে যায়। হঠাৎ ট্রলারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ১৯ জন জেলেসহ সাগরে নিখোঁজ হন। নিখোঁজদের মধ্যে মোরশেদ একমাত্র জীবিত হিসেবে পাঁচ দিন পর উদ্ধার হলেন।
উদ্ধার হওয়া ট্রলার এফবি বায়েজিদের মাঝি সিরাজ বলেন, “সকাল ৯টার দিকে ফিশিং করা আরেকটি ট্রলার আমাদের কাছে মোরশেদকে হস্তান্তর করে। জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, পাঁচ দিন আগে ১৯ জন জেলেসহ তাদের ট্রলারটি ডুবে গেছে। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে। এরপর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ায় আর কোনো তথ্য জানা যায়নি।”
কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুপ্রি দাশ বলেন, “দুপুর দেড়টার দিকে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় অচেতন অবস্থায় জেলেকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, “উদ্ধারের পরপরই আমরা মোরশেদকে হাসপাতালে পাঠাই। বর্তমানে তিনি কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।”
স্থানীয় জেলেদের ধারণা, এখনো নিখোঁজ বাকি জেলেদের খোঁজে অভিযান জোরদার করা জরুরি।
প্রতিবেদক - জাকারিয়া জাহিদ, কলাপাড়া, পটুয়াখালী।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...