বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক এডভোকেট শাহ শাহেদা আখতার। তিনি বলেন, “প্লাস্টিক একবার ব্যবহারের পর তা আবর্জনায় পরিণত হয়। এটি পচে না এবং ধ্বংস হতে হাজার বছর লেগে যায়। ফলে ভূপৃষ্ঠের পানি, মহাসাগর ও নদী মারাত্মকভাবে দূষিত হয়। এর প্রভাব মানবদেহসহ প্রাণীকুলের জন্য ভয়াবহ।”
তিনি আরও বলেন, মাটি, পানি ও বায়ু সর্বত্রই প্লাস্টিক দূষণ বিস্তার লাভ করেছে। পাশাপাশি টিলা কেটে ঘরবাড়ি নির্মাণের ফলে বারবার টিলা ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে, যা পরিবেশ ও মানবজীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। টাঙ্গুয়ার হাওরে অনিয়ন্ত্রিত হাউসবোট চলাচল, শব্দদূষণ ও প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলার কারণে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে আন্দোলন করার আহ্বান জানান তিনি।
শাহেদা আখতার আরও উল্লেখ করেন, ধোপাজান ও যাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু উত্তোলনের ফলে বহু ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ভবিষ্যত ভয়াবহ হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ফোরামের সহ-সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং বেলার ফিল্ড অফিসার শাফায়াত উল্ল্যাহর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, স্বপন কুমার মিত্র, আব্দুল মান্নান ও হাউস নির্বাহী পরিচালক সালেহীন চৌধুরী শুভ।
কর্মসূচি শেষে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে একটি সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
প্রতিবেদক- খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...