Logo Logo

ভারতীয় কম্বল মজুতের তথ্য ফাঁস, দুই দফায় ৮০ পিস উদ্ধার

চোরাকারবারি চক্রের অন্তর্কলহে প্রকাশ্য হলো কম্বল পাচারের ঘটনা


Splash Image

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় চোরাকারবারি চক্রের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ফাঁস হয় ভারতীয় কম্বল মজুতের ঘটনা। পুলিশ দুই দফা অভিযানে ৮০ পিস ভারতীয় কম্বল উদ্ধার করেছে।


বিজ্ঞাপন


নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নে চোরাকারবারি চক্রের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে ফাঁস হয়ে গেছে ভারতীয় কম্বল মজুতের ঘটনা। পুলিশ টানা দুই দফায় অভিযান চালিয়ে মোট ৮০ পিস ভারতীয় সিঙ্গেল কম্বল উদ্ধার করেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে নৌকাযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ৩৭০ পিস ভারতীয় কম্বল আনা হয়। ঢাকায় পাচারের প্রস্তুতিকালে উপজেলার রানীগাও গ্রামে কম্বল ভাগাভাগি নিয়ে চক্রের সদস্যদের মধ্যে হরিলুটের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে আসে।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তপথ ব্যবহার করে ভারতীয় মালামাল পাচার ও মজুতের সঙ্গে জড়িত বাঙ্গালভিটার আল আমিন, শাহআলম, তপুসহ কয়েকজন। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় স্থানীয় শাহিন, দেলোয়ার ও শাহআলমসহ কিছু লোক জড়িত থাকতে পারে বলেও জানা গেছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান শুরু করে।

কলমাকান্দা থানার ওসি (তদন্ত) সজল কুমার সরকার জানান, বুধবার রাতে রানীগাও গ্রামের কংশ নদীর তীরে তারাব আলীর বাড়ির পাশের ঝোপ থেকে ৬৮ পিস এবং বৃহস্পতিবার রাতে গুনা মিয়ার বাড়ির সামনের সড়ক থেকে আরও ১২ পিস ভারতীয় কম্বল উদ্ধার করা হয়। দুই দিনে মোট ৮০ পিস কম্বল জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, স্থানীয়দের দাবি—এখনও বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কম্বল মজুত রয়েছে। সঠিকভাবে অভিযান চালানো হলে আরও উদ্ধার সম্ভব।

এ বিষয়ে কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জিহাদ খান মিতুল বলেন, “আমার পাশের গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে শুনেছি। কুখ্যাত শাহিন (ছালামের ভাতিজা), শাহআলম, দেলোয়ারসহ যারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরি।”

তিনি আরও জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের নির্দেশে মাদক, চোরাকারবারি ও জুয়ার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...