অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মো. রাফি।
বিজ্ঞাপন
ভিকটিমের পিতা মো. রনি শরিফ বলেন, “শিক্ষক মো. রাফি আমার ছেলেকে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট দেওয়ার কথা বলে তার রুমে নিয়ে গিয়ে খারাপ কাজ করেছেন। খবর পেয়ে আমি মাদ্রাসায় গিয়ে তাকে ধরে থানায় সোপর্দ করি।” ভিকটিমও জানিয়েছেন, “আমি বাবার কাছে গিয়ে সব জানিয়েছি।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মো. রাফি ইসলাম মাদ্রাসার নূরানী বিভাগে শিক্ষকতা করতেন। তিনি তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মৌপাড়া গ্রামের নজরুল তালুকদারের ছেলে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত নিজ মুখে অপরাধ স্বীকার করেন। এছাড়া জানা যায়, পূর্বেও তিনি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অন্যান্য শিশু ছাত্রদের উপর বলাৎকার করেছেন।
ঘটনার পর ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী মাদ্রাসা ঘেরাও করে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়াকুব হোসাইন বলেন, “অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”
বরগুনা সদর এলাকার বাসিন্দারা এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...