বিজ্ঞাপন
নির্ধারিত কমিটিতে এডভোকেট আবু হানিফকে আহ্বায়ক এবং জিএস ফরিদকে সদস্য সচিব করে ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট চাটখিল উপজেলা বিএনপি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। একইসঙ্গে মোস্তফা কামালকে আহ্বায়ক এবং আহছানুল হক মাসুদকে সদস্য সচিব করে ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট চাটখিল পৌরসভা বিএনপি কমিটি গঠন করা হয়।
তবে কমিটি ঘোষণার পর থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সরকারের সময় আন্দোলন-সংগ্রাম, হামলা-মামলা এবং জেলজুলুমের শিকার সক্রিয় ত্যাগী নেতাদের পদবঞ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে যারা কমিটিতে স্থান পেয়েছে তাদেরকেও যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি।
কমিটিতে অধিকাংশ পদ প্রাপ্ত ব্যক্তিরা গত ১৭-১৮ বছরে দেশে বা দলের কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন না। তবে অর্থের বিনিময়ে কমিটিতে পদ ভাগাভাগি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এই কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির দেশ-বিদেশে থাকা নেতাকর্মীরা জেলা কমিটির বিরুদ্ধে নানান সমালোচনা ও অভিযোগ তুলে পোস্ট করছেন।
পৌরসভা বিএনপি নেতা আবুল কাশেম মিন্টু আক্ষেপ করে বলেন, “যারা বিগত দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলেন না, অতীতে কোনো পদে ছিলেন না, তাদের পদায়ন করা হয়েছে। অথচ পরীক্ষিত ত্যাগী কর্মীদের পদ বঞ্চিত করা হয়েছে। অনেককে পদ দেওয়া হয়েছে যারা স্বৈরাচার সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের সাথে সখ্যতা ছিল, নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট দিয়েছে।”
এই বিষয়ে তারা অবিলম্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এছাড়া অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ ও অনিয়মের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো ও সদস্য সচিব মো: হারুনুর রশিদ আজাদকে ফোন ও এসএমএস করার পরও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদক- মোঃ হাসান, চাটখিল,নোয়াখালী।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...