ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, এই দাবি মানা না হলে দেশজুড়ে কঠোর গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এ বক্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
স্ট্যাটাসে ইশরাক লেখেন, “অনেক তো দেখে আসছি, আর পেছনের দিকে দেশটাকে নিতে চাই না। অবশ্যই আমরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করব, দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবো, নির্বাচনী স্পষ্ট রোডম্যাপ আদায়ের মাধ্যমে আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবো। এমনকি বিতর্কিত উপদেষ্টাদের পদত্যাগে কঠোর গণতান্ত্রিক আন্দোলনও করবো।”
তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে আহ্বান জানান, আন্দোলন চলাকালে যেন কেউ রাজনৈতিক ভিন্নমতের নেতাদের অসম্মান না করেন। ভাষা ও ব্যবহারে শালীনতা বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বাদে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার বিরুদ্ধে যত ক্ষোভই থাকুক, আমরা যেন শিষ্টাচার মেনে সমালোচনা করি।”
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসি’র বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে রায় দেন। নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল সেই রায়ের ভিত্তিতে গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু এখনও তিনি শপথ নিতে পারেননি। এরই প্রেক্ষিতে ইশরাকের সমর্থকরা নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন, যার ফলে কার্যত ভবনের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে তার আজকের স্ট্যাটাস আন্দোলনের নতুন গতি আনতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি করে গণআন্দোলনের ইঙ্গিত দেওয়া রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তাপ ছড়িয়েছে।
বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ইশরাক হোসেনের এই বার্তা শুধুমাত্র আন্দোলনের বার্তাই নয়, বরং একটি কৌশলগত সতর্কতাও। বিএনপির পক্ষে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক বার্তা প্রেরণের চেষ্টা হিসেবে এটি ধরা হচ্ছে।