ভোরের বাণী
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, "বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এই মুহূর্তে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর উচিত, ঐক্যবদ্ধ ও সজাগ থেকে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা।"
থাইল্যান্ডের ব্যাংককের রুটনিন আই হসপিটাল থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত যৌথ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অসুস্থতার কারণে বিদেশে অবস্থান করলেও সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, “আজকের সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাজারো ছাত্রের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র আজ আবার হুমকির মুখে। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে, জনগণের ভোটাধিকার হরণ এবং রাষ্ট্রীয় বিভাজনের পাঁয়তারা চলছে।”
সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। “সরকারের ভেতরে অনুপ্রবেশকারী কিছু গোষ্ঠী বাংলাদেশকে ভুল পথে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করছে,” — বলেন বিএনপি মহাসচিব।
গত ১৩ মে চোখে জটিলতা দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক যান মির্জা ফখরুল। সেখানে তার বাম চোখে সফল অস্ত্রোপচার হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে বর্তমানে তিনি হাসপাতালে কেবিনে বিশ্রামে আছেন। সঙ্গে রয়েছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম।
দলের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে। জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম এবং তারেক রহমানের নতুন নেতৃত্ব—এই তিনটি স্তম্ভেই গড়ে উঠবে একটি নতুন বাংলাদেশ।”
সভায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই জাতি এক ক্ষণজন্মা নেতাকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে পারেনি। তার রেখে যাওয়া আদর্শই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, সহস্রাধিক enforced disappearance—এসব ত্যাগ আজ আমাদের শক্তি। আমরা শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে এগিয়ে যাব।”
সভায় আগামী ২৬ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত আট দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবদুস সালাম আজাদসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।