ভোরের বাণী
ইরানের রাজধানী তেহরানের ছবি।
বিজ্ঞাপন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে সিএনএন। বুধবার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তাসংস্থা রয়টার্সও।
তবে এই প্রতিবেদন সম্পর্কে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি। ইসরায়েলি দূতাবাস ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরও এ বিষয়ে মুখ খোলেনি। একইসঙ্গে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (NSC) থেকেও তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সিএনএনের প্রতিবেদনে এক মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র জানায়, “সাম্প্রতিক কয়েক মাসে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।” সূত্রটি আরও জানায়, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে এমন কোনো চুক্তি হয় যেখানে ইরান তার ইউরেনিয়াম মজুদ পুরোপুরি প্রত্যাহার না করে—তাহলে ইসরায়েলের হামলার ঝুঁকি আরও বাড়বে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি শুধু ইসরায়েল-ইরান নয়, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও অস্থির করে তুলতে পারে। কারণ, ইরান দীর্ঘদিন ধরেই তার পারমাণবিক কর্মসূচিকে জাতীয় স্বার্থের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে।
সিএনএনের অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক তৎপরতা বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। দুই মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ইসরায়েল বিমান হামলার জন্য গোলাবারুদ সরানো, সামরিক মহড়া সম্পন্ন করাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়।
এর আগে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সাফ জানিয়ে দেন—ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে আমেরিকার দাবি ‘অতিরিক্ত এবং অযৌক্তিক’। তিনি নতুন কোনো পরমাণু চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশাসন অবশ্য ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফেরাতে কূটনৈতিক চেষ্টার কথা বলছে। তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সত্যিই হামলার পথে হাঁটবে কি না?
