ভোরের বাণী
এনসিপির মুখ্য সংগঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে দলটির মুখ্য সংগঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী নির্বাচন কমিশনসহ উপদেষ্টা প্যানেলের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে তীব্র বক্তব্য তুলে ধরেন।
নাসির উদ্দীন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যারা বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন, তাদের পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবো।” তিনি আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের নাম সরাসরি উল্লেখ করে বলেন, এদের কর্মকাণ্ড দেশের অর্থনীতি ও প্রশাসনিক ভারসাম্যকে ধ্বংস করছে।
পাটোয়ারী অভিযোগ করেন, “আইন মন্ত্রণালয় গুড়িয়ে দিতে কাজ করছেন আসিফ নজরুল, আর দেশের অর্থনীতি ধ্বংসে লিপ্ত সালেহউদ্দিন ও ওয়াহিদ উদ্দিন।” তিনি আরও বলেন, “এই বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে তড়িঘড়ি করে। বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের মতো আচরণ করছে কমিশন।”
সমাবেশ থেকে ইসি পুনর্গঠনের জোর দাবি তোলা হয়। বক্তারা বলেন, “কমিশনের সকল সদস্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।” নাসির উদ্দীন আরও দাবি করেন, “বিএনপি লাশের রাজনীতি শুরু করেছে। তারা আওয়ামী লীগের অর্থায়নে রাজনৈতিক প্রচারণা চালাচ্ছে। এনসিপি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ছাড়া কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।”
সালেহউদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আপনি ভারতের দালাল হয়ে গেছেন। দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে বাংলাদেশকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছেন।” আসিফ নজরুলকে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি, “জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা চলছে। জনগণের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করলে দেশের মাটিতে টিকে থাকা যাবে না।”
এনসিপি নেতৃবৃন্দের দাবি, উপদেষ্টা প্যানেল থেকে বিএনপিপন্থীদের সরিয়ে দিতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে গঠন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) একটি উদীয়মান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। বিগত কয়েক মাস ধরে দলটি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা এবং সরকারপন্থী প্রভাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার। সাম্প্রতিক এই কর্মসূচি তাদের সক্রিয় রাজনৈতিক কৌশলের অংশ।