ভোরের বাণী
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২১ মে) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ইসির পঞ্চম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সকাল পৌনে ১১টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, “ইসি তার সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে ও নিরপেক্ষভাবে পালন করছে এবং ভবিষ্যতেও এ নীতির ভিত্তিতে কাজ করবে।” তিনি আরও যোগ করেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো মন্তব্য করতে চায় না।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার দাবি জানালে সে বিষয়ে সানাউল্লাহ বলেন, “নির্বাচনের ক্রম নির্ধারণের ক্ষমতা ইসির হাতে নেই। পরিবর্তিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারই সিদ্ধান্ত নেয় কোন নির্বাচন আগে হবে, কোনটা পরে। কমিশনের দায়িত্ব শুধুমাত্র নির্বাচন আয়োজন করা।”
কমিশন সভায় ২০২৫ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০২৫’, ‘সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৫’ এবং ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৫’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কমিশন সূত্র জানায়, এসব নীতিমালার খসড়া যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে পরবর্তী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের এই ধারাবাহিক প্রস্তুতি ভবিষ্যৎ নির্বাচনী পরিবেশকে আরও স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। তবে বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একাধিকবার তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এনসিপির সাম্প্রতিক দাবি ও রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে এই মন্তব্য কমিশনের অবস্থান পরিষ্কার করল।
