ভোরের বাণী
ছবি: সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর মগবাজারে আল-৭ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার এক বিশেষ অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “বিগত আমলে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। আগামী নির্বাচন যেন সত্যিকারের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এই মাসের মধ্যেই সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে আগামী মাসে রোডম্যাপ ঘোষণা দিন। জনগণের সামনে স্বচ্ছভাবে এই রোডম্যাপ উপস্থাপন করুন।”
জামায়াতের আমির আরও বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। কাদা ছোড়াছুড়ি ও দোষারোপ বন্ধ করে সংলাপের মাধ্যমে সংকট নিরসনের পথে অগ্রসর হওয়া উচিত।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সমস্যা যত জটিল হোক না কেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। জাতীয় স্বার্থে জামায়াত ইসলামী সর্বদা সংলাপে প্রস্তুত রয়েছে।”
আলোচনায় আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয়েও মন্তব্য করেন তিনি। “আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়াটি এখনো জনগণের কাছে দৃশ্যমান নয়। বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে,”—উল্লেখ করেন তিনি।
মানবিক করিডোর প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ইস্যু। সরকারের উচিত ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং এ বিষয়ে সকল পক্ষের মতামত নেয়া। সম্ভব হলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের ওপর বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হোক।”
সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে তিনি সতর্ক করেন, “সেনাবাহিনীর সম্মান যেন কোনো কর্মকাণ্ডে ক্ষুণ্ণ না হয়। দেশের সার্বিক নিরাপত্তায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।”
সবশেষে তিনি বলেন, “সরকারের ওপর জামায়াতে ইসলামী আস্থা রাখতে চায়। একইসঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই। কারণ, কারো ভুল বোঝাবুঝির জন্য জাতি আবার সংকটে পড়লে তার দায় কেউ এড়াতে পারবে না।”
এসময় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি দুর্নীতিমুক্ত ও মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে জামায়াতে ইসলামীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।