বিজ্ঞাপন
দুদক কর্মকর্তাদের জেরায় হাসিব স্বীকার করেন, উদ্ধার করা টাকা রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তারের জন্যই নেওয়া হচ্ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে শামীমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় দুদক।
দুদকের যশোর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দীনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে প্রাথমিক জেরায় শামীমা আক্তার স্বীকার করেন, হাসিব তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এবং ঘুসের টাকাটি তার জন্যই সংগ্রহ করা হচ্ছিল। দুদক এখন খতিয়ে দেখছে, এ চক্রের সঙ্গে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের আরও কেউ জড়িত কি না।
উপ-পরিচালক সালাহউদ্দীন বলেন, “আমরা টাকা উদ্ধার করেই থেমে থাকিনি। যারা এই টাকার পেছনে রয়েছেন, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। বেনাপোল কাস্টমস ঘুসমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।”
তিনি আরও জানান, আটক রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও হাসিব হোসেনকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং দুদকের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, “বেনাপোলে ফাইল ছাড়াতে আগে ঘুস দিতে হতো, নইলে কাজ হতো না। দুদকের এ অভিযান সত্যিই সাহসী পদক্ষেপ।”
বেনাপোল বাজার এলাকার সাধারণ নাগরিক সোহেল রানা বলেন, “কাস্টমসের দুর্নীতির কথা সবাই জানে। এখন যদি আসল অপরাধীদের ধরা হয়, তবে সাধারণ মানুষও স্বস্তি পাবে।”
স্থানীয় এক তরুণ বলেন, “বেনাপোল শুধু ব্যবসার কেন্দ্র নয়, দেশের ভাবমূর্তির সঙ্গেও জড়িত। দুদকের এসব পদক্ষেপ আমাদের মতো তরুণদের মধ্যে ন্যায়ের প্রতি বিশ্বাস বাড়াচ্ছে।”
এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল কাস্টমস হাউস দীর্ঘদিন ধরেই ঘুস ও দুর্নীতির অভিযোগে আলোচনায় রয়েছে। চলমান দুদক অভিযানকে অনেকেই “বেনাপোলকে ঘুসমুক্ত করার প্রথম পদক্ষেপ” হিসেবে দেখছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...