ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৩ মে) সকাল ১০টায় কুয়াকাটার খান প্যালেস আবাসিক হোটেলের অডিটোরিয়ামে জেলা মৎস্য দপ্তর এই কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি খামার আধুনিকীকরণ, উন্নত প্রযুক্তির সম্প্রসারণ এবং উন্নত জাতের মাছ উৎপাদন নিশ্চিত করা হবে।”
তিনি আরও জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে মাছের উৎপাদন প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এ সময় তিনি উপস্থিত মৎস্যচাষিদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন এবং তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক মো. মশিউর রহমান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম এবং অধ্যাপক ড. রাজিব সরকার। সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের পরিচালক আলফাজ উদ্দিন শেখ।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম, যিনি প্রকল্পটির লক্ষ্য ও কাঠামোগত পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি জানান, দেশের ৫৬টি জেলায় ৩১টি সরকারি মৎস্য খামারে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, উন্নত জাতের মাছের প্রজনন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার (যেমন AIoT) এবং চাষিদের হাতে প্রযুক্তির সহজলভ্যতা চাষ পদ্ধতিতে বিপ্লব আনবে। চাষিরা ঘরে বসেই জানতে পারবেন পানিতে অক্সিজেন, তাপমাত্রা বা অন্যান্য সমস্যা রয়েছে কিনা, যা দ্রুত সমাধানে সহায়ক হবে।
প্রায় ১০০ জন মৎস্যজীবী, খামারি ও চাষি এই কর্মশালায় অংশ নেন। বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে শুধু মাছের উৎপাদনই নয়, চাষিদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি এবং দেশের অর্থনীতিতেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা।
প্রতিবেদক - জাকারিয়া জাহিদ, কুয়াকাটা, পটুয়াখালী।
