বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে জন্মধাম মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। সঞ্চালনায় ছিলেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু অদ্বৈত রায়। সভায় জেলার ১২টি উপজেলার শত শত সনাতন ধর্মাবলম্বী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বাবু সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পুর প্রতিনিধি ও সুনামগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বাবু অশোক তালুকদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লব কুমার তালুকদার, শংকর কুমার দাস, রাজন তালুকদার, রমাকান্ত দাস, রামকৃষ্ণ তালুকদার সবুজ, ইউপি সদস্য রঞ্জিত সূত্রধর, দেবেশ রায়, রিন্টু রায়, টিটু রঞ্জন তালুকদার, চপল দাস, রানা তালুকদার, নিলয় চক্রবর্তী, সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা, শিক্ষক বিপ্লব কুমার দাস ও রঞ্জন তালুকদার প্রমুখ।
সভায় মন্দিরের উন্নয়ন কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা শেষে সাধারণ সম্পাদক বাবু অদ্বৈত রায় মন্দিরের আয়-ব্যয়ের সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে বহিরাগত একদল দুর্বৃত্ত সভা ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়। অভিযোগ করা হয়, স্থানীয় মধুসূদন রায়ের নির্দেশে কানন বন্ধু রায়, জয়ন্ত রায়, টিটু রায়, লিটন রায়, কৌশিক রায়, জয় রায়, মিটু রায়, কিরণ রায়, সুভাষ রায়, নারায়ণ চক্রবর্তী ও সুষেন দাসসহ কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
পরে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও সভার একপর্যায়ে পুনরায় বাকবিতণ্ডা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বর্তমান কমিটির মেয়াদ এখনও এক বছর বাকি থাকলেও নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় সভাপতি করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল সভা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি ঘোষণা করেন।
সভায় উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ. ম. খালিদ হোসেন শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর জন্মধাম পরিদর্শনকালে মন্দির উন্নয়নের জন্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন।
পরে অতিথির বক্তব্যে বাবু অশোক তালুকদার বলেন, “জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম উচ্চারণ করতেই বহিরাগত দুস্কৃতিকারীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তারা সভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ফ্যাসিবাদী আচরণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশ-বিদেশ থেকে লাখো পূণার্থী যাদুকাটা নদীতে গঙ্গাস্নান করতে ও পাপমোচনের উদ্দেশ্যে এই অদ্বৈত মহাপ্রভুর জন্মধামে আসেন। এটি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এই কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি তিন বছর অন্তর ১২টি উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতামতের ভিত্তিতে রেজুলেশনের মাধ্যমে গঠিত হয়। তাই এখানে কোনো পেশিশক্তির খবরদারি চলবে না।”
তিনি সকলকে সংযম ও শালীনতা বজায় রেখে মতামত প্রকাশের আহ্বান জানান।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...