বিজ্ঞাপন
সারেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত কাজিরশুরা এলাকা। শিবচর ও সদরপুরের সীমান্তে বিশাল পদ্মার অংশ জুড়ে এই এলাকা। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এখানে আসে ইলিশ মাছ কিনতে। শিবচর ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ মাছ কিনতে আসেন।
নদীর মাঝে দেখা গেছে প্রায় শতাধিক মাছ ধরার ট্রলার। নদীর পাড়ে অস্থায়ীভাবে বসেছে মাছের বাজার। বাজারে উন্মুক্তভাবে মাছ কেনা-বেচা চলতে দেখে বোঝার উপায় নেই যে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
মাছের বাজার ঘেঁটে দেখা গেছে, বাজারের প্রায় সকল মাছই ডিমওয়ালা মা ইলিশ ও জাটকা। মাছ কিনতে আসা এক ব্যক্তি জানান, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই স্থানের খবর পান। শখের বসে মাছ কিনতে এসেছেন তিনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাছ বিক্রেতা জানান, “এই সময়ে মাছ না ধরলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাবে। এছাড়া আমরা কোন রকম সাহায্য-সহযোগিতা পাই না। সংসার চালানোর বিকল্প থাকলে আমরা অবশ্যই আইন মেনে চলতাম।”
স্থানীয় কয়েকজন অধিবাসী দাবি করেন, কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা উচিত। মাঝে মাঝে প্রশাসন অভিযান চালালেও, প্রশাসনের চলে যাওয়ার পর আবার দেদারছে মাছ বিক্রি শুরু হয়ে যায়। তারা মনে করেন, “যদি আমরা মা ইলিশ রক্ষা করি, ভবিষ্যতে আরও বেশি মাছ পাব। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে।”
উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দফায় প্রায় ২০ জন জেলেকে জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে মাছ ধরা থামানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রশাসন সবাইকে আইন মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...