বিজ্ঞাপন
প্রশিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কয়েক সপ্তাহ ধরে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে। প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার ও শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। শনিবারের মতো আজও প্রশিক্ষণ চলছিল।
নিহত আয়মান সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কহরপাড়া গ্রামের আরিফ হোসেনের ছেলে। শিশুটির চাচা নিজেও ওই প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রশিক্ষণ শেষে আয়মানকে পানি থেকে তুলে দেওয়া হয়। পরে অল্প সময়ের ব্যবধানে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে সে আবারও পানিতে নেমে যায়। কিছুক্ষণ পর তাকে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে পুকুর থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আয়মানকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের মতে, এমন প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রমে শিশুদের নিরাপত্তায় আরও সতর্কতা প্রয়োজন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খাইরুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রশিক্ষণ শেষে শিশুটিকে পানি থেকে উঠানো হয়েছিল। পরে চোখ ফাঁকি দিয়ে আবার পানিতে নামলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবুও কারো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, “এ ধরনের প্রশিক্ষণ বা কার্যক্রমে অভিভাবকদের আরও সচেতন থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা না ঘটে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...