বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই ধর্মীয় উৎসবের আয়োজন করে হিজাছড়ি আর্যরত্ন বন বিহার পরিচালনা কমিটি।
সকালে প্রথম পর্বের সূচনায় অনুষ্ঠিত হয় ভিক্ষু সংঘের প্রাতঃরাশ, বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন, ত্রিশরণ ও পঞ্চশীল প্রার্থনা। এ সময় বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্টপরিষ্কার দানসহ নানাবিধ দান ও উৎসর্গ সম্পন্ন হয়। পরে পূজনীয় ভিক্ষু সংঘের মধ্যে ভদন্ত প্রজ্ঞাবোধি মহাস্থবির ও পূর্ণজ্যোতি মহাস্থবির ধর্মদেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন রবিন চাকমা ও রবিনা চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিঝু চাকমা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ক্যাহলা প্রু মার্মা।
দ্বিতীয় পর্বে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে কঠিন চীবর ও কল্পতরু মঞ্চে আনা হয়। পরে পূজনীয় ভিক্ষু সংঘকে ফুলের তোরা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং শিল্পী নোভেল চাকমার কণ্ঠে ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দানোত্তম কঠিন চীবর দান, কল্পতরু দান ও হাজার প্রদীপ উৎসর্গ।
বিশ্বের সকল প্রাণীর হিতসুখ ও মঙ্গল কামনায় পূজনীয় ভিক্ষু সংঘের নিকট বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে মহাকাল ভিক্ষুকে মহাস্থবির বরণ এবং অতিথি ভিক্ষুদেরও সম্মাননা জানানো হয়।
সংঘের প্রধান হিসেবে উপস্থিত থেকে ধর্মদেশনা প্রদান করেন ফুরমোন আন্তর্জাতিক ধ্যান ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ভৃগু মহাস্থবির ভান্তে। এছাড়াও দেশনা দেন হিজাছড়ি আর্যরত্ন বন বিহারের অধ্যক্ষ বিদর্শন স্থবির ও জিনপ্রিয় মহাস্থবির ভিক্ষু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হরিলাল চাকমা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অমরজীব চাকমা, শিক্ষক প্রীতিময় চাকমা, ওয়ার্ড মেম্বার জ্ঞান তালুকদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রসঙ্গত, প্রবারণা পূর্ণিমার (আশ্বিনী) পরদিন থেকে কার্তিকী পূর্ণিমা পর্যন্ত মাসব্যাপী কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বৌদ্ধ বিনয় অনুযায়ী, একটি বিহারে বছরে একবারই এই দান অনুষ্ঠান করা যায়। তবে উক্ত বিহারে ভিক্ষু সংঘকে টানা তিন মাস বর্ষাব্রত অধিষ্ঠান সম্পন্ন করতে হয়। তবেই সেখানে কঠিন চীবর দানের মাধ্যমে ভিক্ষু চীবর গ্রহণের যোগ্য হন। অন্যথায়, সেটি কঠিন চীবর হিসেবে গণ্য হয় না।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...