বিজ্ঞাপন
নিহত লতা মার্মা বিলাইছড়ি উপজেলার ২নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের শামুকছড়ি (কেংড়াছড়ি পূর্ব পাড়া) গ্রামের বাসিন্দা মিলন কান্তি চাকমার স্ত্রী। তিনি দীঘলছড়ি ঢেবা মাথা গ্রামের মৃত প্রভাত চন্দ্র চাকমার মেয়ে। নিহতের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে; এর মধ্যে ছোট মেয়ের বয়স আড়াই বছর বলে জানা গেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে ভাসুরের এক শিশুকে সঙ্গে নিয়ে লতা মার্মা নৌকা বেয়ে বিলাইছড়ি বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কেরণছড়ি এলাকায় পৌঁছালে আনুমানিক সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে হঠাৎ মাথা ঘুরে তিনি নদীতে পড়ে যান। পরে স্থানীয় জেলেরা বড় জাল ফেলে প্রায় তিন ঘণ্টা পর, সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করেন। পরিবার জানায়, লতা মার্মার দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা ছিল।
নিহতের স্বামী মিলন কান্তি চাকমা বলেন, “প্রথমে আমি খবর পাই আমার ছোট ছেলে পানিতে ডুবে গেছে। তাড়াহুড়ো করে আসার সময় দুইবার অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম। পরে আমাকে ও বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।” তিনি আরও জানান, “আমি দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছি। আমার ওষুধ আনতে বাজারে যাচ্ছিলেন স্ত্রী। আমাদের ছোট মেয়েটার বয়স আড়াই বছর, সে এখনো মায়ের দুধ খায়।”
বিলাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুদ্দিন জানান, “লতা মার্মাকে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে আনা হলে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।”
বিলাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মানস বড়ুয়া বলেন, “লতা মার্মার পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা সত্য। পরিবার থেকে অপমৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। নিহতের মা, চাচা ও ভাই থানায় এসেছেন। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...