ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
দলটির দাবি, আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশের পরও নির্বাচন কমিশনকে অন্যায়ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে, যার পেছনে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার পক্ষপাতমূলক ভূমিকা রয়েছে। বিএনপির মতে, এই আচরণ সরকারের নিরপেক্ষতা ও ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে।
শনিবার রাতে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল এসব অভিযোগ তুলে ধরে। প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি স্বাক্ষরিত এক পত্রে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
পত্রে উল্লেখ করা হয়, “গত সাড়ে ৯ মাসে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা কতটুকু পূরণ হয়েছে, সেটি এখন একটি বড় প্রশ্ন। সরকারের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ড জনমনে নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে।” তিনি আরও জানান, জাতীয় স্বার্থ সংবলিত স্পর্শকাতর বিষয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকারের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণই যুক্তিযুক্ত।
বিএনপির অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব সত্ত্বেও ডিএসসিসির মেয়র ইশরাক হোসেনের শপথগ্রহণ নিয়ে অযৌক্তিক জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ ব্যাহত হচ্ছে বলেও তারা মনে করে। প্রতিনিধি দলের ভাষ্য অনুযায়ী, “সরকারের কর্মপরিকল্পনায় কোনো পক্ষকে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি যেন স্থান না পায়, তা নিশ্চিত করা দরকার।”
বিএনপি আরও দাবি করেছে, বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ ও সরকারের কর্মকাণ্ডে পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। তারা মনে করে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচিত সরকার গঠনই জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের একমাত্র পথ।
অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্য অসন্তোষ জানিয়ে বিএনপি সতর্ক করে বলেছে, “যদি আমাদের পরামর্শ উপেক্ষিত হয়, তাহলে সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে।”