ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৫ মে) সচিবালয়ের প্রধান ফটকে চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে তিনি বলেন, “আমরা সেই কালো আইন, নিবর্তনমূলক আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এখানে একত্রিত হয়েছি। যে আইন আমাদের অধিকার খর্ব করবে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
সংশোধিত খসড়াটির মূল আপত্তি হলো, এতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই চাকরি থেকে বরখাস্তের বিধান রাখা হয়েছে। কর্মচারীরা অভিযোগ করছেন, এ আইনে শৃঙ্খলা বিঘ্ন, দায়িত্বে গাফিলতি, অননুমোদিত ছুটি কিংবা উসকানির অভিযোগে সরাসরি চাকরিচ্যুতির সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা 'অবিচার' এবং 'নির্বিচার ক্ষমতার অপব্যবহার' বলে মনে করছেন তারা।
বাদিউল কবীর আরও বলেন, “এই আইন এখনো চূড়ান্ত না হলেও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই এই খসড়া তৈরি হয়েছে। আমরা চাই, অবিলম্বে এই কালো আইন বাতিল করা হোক।”
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “আইন প্রত্যাহার না হলে সচিবালয় পুরোপুরি অচল করে দেওয়া হবে। আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাব।”
বিক্ষোভে উপস্থিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, “আজকের মধ্যে যদি স্পষ্টভাবে বাতিলের ঘোষণা না আসে, তবে সচিবালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে। উপদেষ্টাদের গাড়িও ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।”
তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে দু’জন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হলেও কোনো সন্তোষজনক জবাব পাওয়া যায়নি। ফলে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন আইন বাস্তবায়ন হলে রাষ্ট্রীয় চাকরিতে এক ধরণের অনিশ্চয়তা ও আতঙ্ক তৈরি হবে, যা প্রশাসনিক কার্যক্রমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সংশ্লিষ্ট মহল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে একটি অংশগ্রহণমূলক আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হোক।
