বিজ্ঞাপন
অভিযোগে বলা হয়েছে, ব্রিজের পাইল নির্মাণে নিম্নমানের পাথর ও কম সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্ধারিত পরিমাণের অর্ধেক রিং ব্যবহার করেই কাজ সম্পন্ন দেখানো হচ্ছে। এমনকি, পাইলের অর্ধেক অংশ মাটিতে পুঁতে বাকি অংশের রড কেটে বিক্রি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সৌরভ ট্রেডার্স।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, “গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)” প্রকল্পের আওতায় ২০২৪–২৫ অর্থবছরে মান্দ্রা খেয়াঘাট–বাপার্ড জাঠিয়া সড়কের ৬০৫০ মিটার চেইনেজে এই ব্রিজ নির্মাণের কাজ দেওয়া হয়। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রিজের পাইলের কাজ চললেও বেশিরভাগ পাইলেই মাটির উপরের অংশ কেটে রড বের করা হচ্ছে। শ্রমিকরাও স্বীকার করেছেন যে, তাদের মূল কাজ হচ্ছে কেটে নেওয়া রড বের করা।
স্থানীয় বাসিন্দা রকিবুল ইসলাম বলেন, “অনিয়মের কথা বললে ঠিকাদারের লোকজন ভয় দেখায়, মামলা দিয়ে হুমকি দেয়।”
আরেক বাসিন্দা মামুন শেখ বলেন, “গত বছরের ১৬ অক্টোবর কাজ শুরু হয়েছিল। এক বছর পার হলেও এখনো মাত্র ১০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ২২ ফুট খালের ওপর কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ একেবারেই অযৌক্তিক।”
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সৌরভ ট্রেডার্স-এর মালিক মো. মুরসালিন সৌরভ সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগে বলেন, “ব্যস্ত আছি।”
উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আজম বলেন, “রড কেটে নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাগুফতা হক জানান, “অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
এলজিইডি গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকৌশল বিভাগের কিছু কর্মকর্তা ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে নিম্নমানের নির্মাণকাজের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করছেন। তারা দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...