বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, গেল কয়েকদিন ধরে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ওই গ্রামে জমি দখলের ঘটনাটি বিভিন্নভাবে আলোচনায় আসে। এ ঘটনায় সংঘর্ষের আশঙ্কাও করেন স্থানীয়রা। তারই সুত্র ধরে জেলা সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান তথ্য সংগ্রহে।
দেখা গেছে, কাগজে কলমে জমির প্রকৃত মালিক মৃত-নইমউদ্দীন (মন্ডল) ও তার স্ত্রী মৃত-মনোয়ারা বেগম। মাদারগঞ্জ মৌজার জেল নং-৪০ দাগ নং ৫৭৯৬, ওই দাগের সাড়ে ৪৮ শতক জমি ক্রয় করেন তারা। ক্রয়কৃত জমির মালিক মারা যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা বাইরে থাকায় এই দাগের ভেতর জোরপূর্বক প্রায় ৩ শতক জমি দখল করে আছে শফিকুল ইসলাম সাপর। এতে মাঝে দ্বন্দে জড়ায় উভয় পক্ষ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের শংকা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
শুধু তাই নয় শফিকুল ইসলাম সাপর ওই গ্রামের রবিউল ইসলামের জমি দখলে নেয়ার চেস্টা করছেন বলেন অভিযোগ তুলেন ভুক্তভোগী।
এ বিষয়ে রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শফিকুল ইসলাম সাপর জোর করে প্রায় ৭ শতক জমি দখল করে আছে। তার ছেলে রাকিব আউলিয়াপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি হওয়ার কারনে ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। তার কর্মকাণ্ডের বিষয় তুলে ধরে ব্যবস্থা নিতে জেলা জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। জেলা কমিটি কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন সেদিকে তাকিয়ে আছে সবাই। আমরা চাই কারো জমি অন্যায়ভাবে যেনো দখল না হয়।
আর এ বিষয়ে সংবাদককর্মীরা শফিকুল ইসলাম সাপর ও তার ছেলে রাকিবের কাছে জানতে চায় কেনো অন্যের জমি দখল করে রয়েছেন। কোন কাগজপত্র আছে কিনা। প্রশ্নের জবাবে তিনি দখলকৃত জমির কোন প্রকার কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। উলটো রাকিব স্বার্থ হাসিলে নিজস্ব ফেইসবুকে গনমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে ক্ষুদ্ধ গণমাধ্যমকর্মীরাও।
জমির মালিকানার পক্ষে তার ছেলে মুজাহারুল ইসলাম জানান, ওই গ্রামে শফিকুল ইসলাম সাপর অন্যায়ভাবে আমাদের জমি দখল করে আছে। বার বার সালিশ বৈঠক হলেও তিনি মানতে নারাজ। ওই এলাকায় শুধু আমাদের জমিই দখল করেনি। রবিউল ইসলামেরও জমি দখল করেছে। মানুষ তাদের হাত থেকে পরিত্রাণ চান।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন আহাম্মদ জানান, জমি দখলের বিষয়ে রাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ এসেছে। দ্রুতই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
প্রতিনিধি- মোঃহুমায়ুন কবির রেজা ঠাকুরগাঁও।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...