বিজ্ঞাপন
কাথুলী সীমান্তে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ৪৭ ব্যাটালিয়নের কাথুলী বিওপির কোম্পানি কমান্ডার মিজানুর রহমানসহ বিজিবির একটি টিম। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলার তেহট্ট থানার ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের তেইনপুর কোম্পানি সদর দপ্তরের কমান্ডার এসি আনচ কুমারসহ বিএসএফের একটি টিম।
কাথুলী বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মিজানুর রহমান জানান, বাংলাদেশি সীমান্তের মেইন পিলার ১৩২/২ এস থেকে ৫ গজ ভিতরে ভারতের তেইনপুরে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৩০ জন বাংলাদেশিকে বিএসএফ বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে। হস্তান্তরকৃতদের মধ্যে ১৫ জন নারী, ১০ জন পুরুষ এবং ৫ জন শিশু রয়েছেন।
কাথুলী সীমান্ত দিয়ে হস্তান্তরকৃতদের মধ্যে রয়েছেন: যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার আব্দুল লতিফ শেখের মেয়ে রাবেয়া বেগম (৫৭), সদর থানার সেকেন্দার শেখের ছেলে শানু শিকদার (৫৭), বাঘারপাড়া থানার বাবু শেখের ছেলে সুমন (২৭), নড়াইল জেলার কালিয়া থানার সাদ্দাম হুসাইন শেখের স্ত্রী সুমি (৩২) ও তাদের শিশু সন্তানরা, খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার এতিম মোল্লার ছেলে আলি আতিয়ার শেখ (৩৫) এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শাহ আলমের স্ত্রী শাবনুর (৩২) সহ অন্যান্যরা।
অন্যদিকে কাজিপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন ৪৭ বিজিবির কাজিপুর বিওপির সুবেদার মো. শাহাবুদ্দিন ও টিম। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ১১ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের ইন্সপেক্টর এবিসন ফ্রাঙ্কসহ বিএসএফের একটি টিম।
কাজিপুর সীমান্তে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে ৮ জন পুরুষ, ১৫ জন মহিলা এবং ৭ জন তৃতীয় লিঙ্গের বাংলাদেশি নাগরিক বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কাজিপুর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, হস্তান্তরকৃত সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক, যারা জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের নাম ও ঠিকানা নিশ্চিত করে গাংনী থানায় পাঠানো হয়েছে।
কাজিপুর সীমান্ত দিয়ে হস্তান্তরকৃতদের মধ্যে রয়েছেন: নড়াইল জেলার কালিয়া থানার ইখলাস মিনার ছেলের মো. সবুর (৪০), যশোর সদর উপজেলার রাজ্জাক শেখের ছেলে মারজিদ (৪৫), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আনসার গাজীর স্ত্রী হানুফা (২৭), ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের দিল মোহাম্মদের ছেলে মো. আল আমিন (৩১), খুলনার ডুমুরিয়া এলাকার আরশাদ শেখের স্ত্রী কুলসুম (৫৯) ও পাবনার সুজানগর এলাকার মোহাম্মদ ইসমাইল শেখের মেয়ে নুসরাত (১৯) সহ অন্যান্যরা।
গাংনী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তরকৃতদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...