বিজ্ঞাপন
রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল আনুমানিক সোয়া ৭টার দিকে র্যাব-৬-এর সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১০-এর একটি দল গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে।
রোববার দুপুরে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকায় নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০, ফরিদপুর ক্যাম্পের স্কোয়াড লিডার ও কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
র্যাব জানায়, সৌরভ কুমার দাস তার স্ত্রী ঝর্ণা ওরফে বন্যাকে (২১) নিয়ে মধুখালী উপজেলার পশ্চিম গাড়াখোলা এলাকার নজরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। গত ২০ অক্টোবর সকাল আনুমানিক সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে ওই ভাড়াবাড়িতেই ঝর্ণাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর থেকেই সৌরভ পলাতক ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব আরও জানায়, চার বছর আগে মধুখালী উপজেলার পশ্চিম গাড়াখোলার বাসিন্দা ঝর্ণার সঙ্গে ফরিদপুর সদরের বঙ্গেশ্বরদী এলাকার সৌরভের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২ বছর ১০ মাস বয়সী সিদ্ধার্থ নামের এক পুত্রসন্তান রয়েছে। বিবাহের পর থেকেই নানা বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। দাম্পত্য কলহের জের ধরেই সৌরভ এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২১ অক্টোবর নিহত ঝর্ণার মা শেফালী রানী বাদী হয়ে সৌরভকে প্রধান আসামি করে মধুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মধুখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নুরুজ্জামান বলেন, "হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিহত ঝর্ণার স্বামী সৌরভকে র্যাব গ্রেপ্তার করে মধুখালী থানায় হস্তান্তর করেছে। আগামীকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।"
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...