বিজ্ঞাপন
গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মো. আল আমিন সরদার সহ সদ্য গঠিত কমিটির ৫৯ জন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছেন।
আজ সোমবার জেলার গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৫৯ নেতার এই গণপদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা গণ অধিকার পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা সভাপতি মো. আল আমিন সরদার।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) গোপালগঞ্জ জেলার নবঘোষিত কমিটি গঠনের পর থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছিল। নতুন কমিটির সভাপতি- আল-আমীন সরদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম নাজমুল ইসলাম সহ মোট ৫৯ জন সদস্য সম্মিলিতভাবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
পদত্যাগকারীদের প্রধান অভিযোগ হলো, নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় দলের মূলনীতি, যোগ্যতা এবং মাঠপর্যায়ে নেতাকর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা কোনোভাবেই বিবেচনা করা হয়নি। অভিযোগ করা হয়েছে, অনেক পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীকে বঞ্চিত করে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা ও পক্ষপাতের মাধ্যমে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা গণঅধিকার পরিষদের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
পদত্যাগকরীরা আরও জানান, "আমরা সবসময় দলের প্রতি অনুগত থেকেছি, কিন্তু যে কমিটিতে আস্থা ও ন্যায়বিচার নেই— সেখানে থেকে কোনো দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। তাই আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমরা সম্মিলিতভাবে আমাদের পদ থেকে পদত্যাগ করছি। তবে আমরা গণঅধিকার পরিষদের মূল আদর্শ, নীতি ও গণমানুষের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।"
এবিষয়ে সদ্য পদত্যাগকারী সভাপতি মো. আল আমিন সরদার বলেন, "সদ্য ৭৯ সদস্য বিশিষ্ট আমাদের জেলা কমিটি গত ২৪ অক্টোবর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যেখানে সাবেক যুবলীগ নেতা মহসিন শেখকে সিনিয়র সহসভাপতি করা হয়েছে, এছাড়া এনসিপি’র কর্মকান্ডের সাথে যুক্তদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। এতে কমিটিতে থাকা পুরোনো নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। যার ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এতে মনঃক্ষুণ্ন হয়ে আমিসহ ৫৯ সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছি। মূলত এখানে স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতি করেছে বিভাগীয় উপ – কমিটি। গতকাল আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির ইমেইলে পৃথকভাবে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।"
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) গণঅধিকার পরিষেদের ৭৯ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। অনুমোদনের মাত্র দুই দিনের মধ্যেই এত বিপুল সংখ্যক নেতার পদত্যাগের ঘটনাটি জেলা রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...