বিজ্ঞাপন
আয়োজনের মো. হাসান মিয়ার সঞ্চালনায় ও সংগঠনের পরিচালক সাইফুর রহমান নাহিদ সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, পথশিশুদের জননী হিসেবে পরিচিত সমাজসেবী কূহিনুর আক্তার প্রিয়া এবং সংগঠনের সকল এডমিন, সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
১৫০ সপ্তাহ ধরে অবিরাম এই খাবার বিতরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে প্রিয় পরিবার। প্রতিটি আয়োজন যেন একটি উৎসব। পথশিশু, দিনমজুর ও অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই যার মূল উদ্দেশ্য।
পরিচালক সাইফুর রহমান নাহিদ বলেন, প্রিয় পরিবার শুধুমাত্র একটি সংগঠন নয়, এটি একটি মানবিক পরিবার। আমরা ভালোবাসা, ঐক্য ও সহমর্মিতার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করছি। আজকের এই ১৫০তম আয়োজন আমাদের জন্য এক বড় মাইলফলক।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, একে একে সবার জীবন বদলালে সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসবে। প্রিয় পরিবার সেই পরিবর্তনের আলো জ্বালাতে কাজ করছে।
পথশিশুদের জননী কূহিনুর আক্তার প্রিয়া বলেন, পথশিশুদের জন্য এমন উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু তাদের ক্ষুধা মেটায় না, বরং সমাজে আত্মবিশ্বাস ও মর্যাদার বোধ জাগিয়ে তোলে।
মানবিক আন্দোলনের বার্তা অবহিত করে উপদেষ্টা মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল বলেন, প্রিয় পরিবার শুধু খাবার বিতরণ নয়, এটি একটি মানবিক আন্দোলন। এই সংগঠনের মাধ্যমে সমাজে ভালোবাসা ও সহানুভূতির নতুন এক ধারা তৈরি হয়েছে।
পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি ‘প্রিয় পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে পথশিশু, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। খাবার বিতরণ ছাড়াও তারা শিক্ষা, চিকিৎসা সহায়তা ও সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
সংগঠনের সদস্যরা জানান, ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত পরিসরে মানবিক কার্যক্রম চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। তাদের বিশ্বাস, মানুষের পাশে থাকাই প্রকৃত সুখ। সহমর্মিতার আলো একদিন সমাজের প্রতিটি প্রান্ত ছুঁয়ে যাবে।
প্রিয় পরিবারের এই ১৫০তম আয়োজন শুধু একটি সংখ্যা নয়,এটি একটানা মানবিকতার জয়ের গল্প, যেখানে প্রতিটি খাবারের থালায় মিশে আছে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর সমাজ পরিবর্তনের অঙ্গীকার।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...