ভোরের বাণী
ইরানের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লি। ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই অবস্থান হয়তো মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার প্রশমন ঘটাতে পারে—তবে পুরোপুরি আশাবাদী হওয়ার সময় এখনো আসেনি।
সোমবার (২৬ মে) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই দেশটির অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি সমাধানে আগ্রহী যা পারমাণবিক অস্ত্র নয়, বরং শান্তিপূর্ণ প্রযুক্তি উন্নয়নের দিকেই যাবে।” তবে তিনি একই সঙ্গে জোর দিয়ে বলেন, ইরান তার শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তির অধিকার থেকে এক চুলও সরে আসবে না।
বিশেষ করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ইস্যুতে ইরান তার অবস্থান কঠোর রেখেছে। তিন বছরের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিত রাখার প্রস্তাব ইরান সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। বাঘাই সাফ জানিয়ে দেন, “এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার এবং আপোষহীন।”
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার মন্তব্য করেন, “ইরান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা খুব ভালো হয়েছে।” যদিও ইরান সতর্ক করে বলেছে, এই আলোচনা যদি কেবলমাত্র তাদের অধিকার সীমিত করার লক্ষ্য নিয়ে চালানো হয়, তবে কোনো গঠনমূলক ফল আসবে না।
বর্তমানে ওমান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে, এবং পরবর্তী আলোচনা কখন ও কোথায় হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার জন্য তেহরান অপেক্ষা করছে। ইরান-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার এই ধারা নতুন কিছু নয়—পূর্বেও একাধিক দফা আলোচনা হয়েছে, কিন্তু ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণসহ কয়েকটি মূল ইস্যুতে উভয় পক্ষই কঠোর অবস্থানে অনড় রয়েছে।
