বিজ্ঞাপন
অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক—এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে মৎস্যচাষিদের পরামর্শ প্রদান, তথ্য সংগ্রহ ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
বর্তমানে অফিসটির সকল দায়িত্ব একাই সামলাচ্ছেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেবাশীষ বাছাড়। প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের তদারকি করাও তার একার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছে।
দেবাশীষ বাছাড় বলেন, “জনবল সংকটের কারণে নিয়মিত কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে না। আমরা সীমিত জনবল নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তবে দ্রুত শূন্য পদগুলো পূরণ হলে মৎস্য খাতের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রত্যেক ইউনিয়নে অন্তত একজন করে মাঠকর্মী থাকলে মৎস্যচাষে আরও গতি আসত। এতে চাষিদের সমস্যাগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে সমাধান দেওয়া সম্ভব হতো।”
বর্ণি ইউনিয়নের মৎস্যচাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, “আগে কর্মকর্তারা মাঠে আসতেন, নানা বিষয়ে পরামর্শ দিতেন। এখন কেউ না আসায় অনেক সময় নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে হয়, এতে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ে।”
ডুমুরিয়া ইউনিয়নের আরেক চাষি ভবেশ গাইন জানান, “নিয়মিত তদারকি পেলে মাছ উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব হতো। কিন্তু কর্মকর্তার অভাবে অনেক সময় সমস্যা জানাতে দেরি হয়।”
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এলাকাটি গোপালগঞ্জ জেলার অন্যতম মৎস্যসমৃদ্ধ অঞ্চল। এখানকার মিঠাপানির মাছ শুধু জেলার নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়। তবে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মাঠ পর্যায়ের কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “শুধু টুঙ্গিপাড়া নয়, জেলার অন্যান্য উপজেলার মৎস্য অফিসগুলোও একই সংকটে ভুগছে। দ্রুত পদগুলো পূরণ না হলে মাঠ পর্যায়ে মৎস্য উন্নয়ন কার্যক্রমের স্থবিরতা কাটানো সম্ভব হবে না।”
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মৎস্য বিভাগের এই জনবল সংকট দ্রুত নিরসন করা গেলে টুঙ্গিপাড়ার মাছ উৎপাদন আরও বাড়বে এবং চাষিরা সরকারি সেবা সহজে পাবে।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা— সরকারের দ্রুত উদ্যোগে শূন্য পদগুলো পূরণ ও মাঠ পর্যায়ে কর্মী নিয়োগ করা হবে, যাতে টুঙ্গিপাড়ার মৎস্য খাত আবারও গতিশীল হয়ে ওঠে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...