ভোরের বাণী
ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর গড়ানোর আগেই নয়াপল্টন পরিণত হয় জনসমুদ্রে। রাজধানীসহ ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে হাজারো নেতাকর্মী জড়ো হন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।
বিভিন্ন বয়সী তরুণদের হাতে দলীয় পতাকা, ব্যানার ও রঙিন ফেস্টুন। কেউ কেউ নেচে-গেয়ে, আবার কেউ উচ্চস্বরে স্লোগান দিয়ে প্রাঙ্গণকে মুখর করে তোলেন। নয়াপল্টনের আকাশ তখন কেবল একটাই বার্তা বহন করছে—তারুণ্যের অধিকার আদায়ের ডাক।
বিশেষ এই সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ ছাড়া গণতন্ত্র সুদৃঢ় হবে না। আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করেছে—এই তরুণরাই আগামী দিনের পরিবর্তনের বাহক।”
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের তরুণ সমাজের আশা-আকাঙ্ক্ষা, উদ্বেগ ও ভবিষ্যতের রাজনৈতিক অংশগ্রহণকে সামনে রেখে এই সমাবেশের আয়োজন। তারা আরও জানান, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় সফলভাবে সেমিনার ও সমাবেশ আয়োজনের পর এবার রাজধানীতে এই বিভাগীয় যুব সমাবেশ তরুণদের মধ্যে নতুন করে আশা জাগাবে।
নয়াপল্টনের দুই পাশে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় সমাবেশ নির্বিঘ্ন করতে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর নজরদারিতে থাকতে দেখা গেছে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না ঘটে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে তরুণদের রাজনীতিতে সরব উপস্থিতি ও তাদের দাবিদাওয়ার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া এখন রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সময়োপযোগী। আজকের এই যুব সমাবেশ তা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিলো।