বিজ্ঞাপন
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার আড়ত ঘুরে দেখা যায়, সবজির দামে ব্যাপক পতন ঘটেছে। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বাজারের আড়তদার রানা, মনোয়ার, আজিদুল, আলমগীর ইসলাম ও আলম দৈনিক ভোরের বাণী জেলা প্রতিনিধিকে জানান, বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, ফুলকপি ২০ টাকায়, পাতাকপি ৩৫ টাকায়, মুলা ১৮ টাকায়, আদা ১০০ টাকায়, সিম ৫০ টাকায়, পটল ৩৮ টাকায়, মরিচ ৮০ টাকায়, পিয়াজ ৮৫ টাকায়, রসুন ৬০ টাকায়, আলু ১২ টাকায়, শুকনো মরিচ ২০০-৩০০ টাকায় এবং কাকরোল ৪০ টাকায়।
তারা আরও জানান, হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হওয়া এবং সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে পাইকারি বাজারে এমন দাম দেখা যাচ্ছে। এতে সাধারণ ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও, কৃষকদের দাবি—উৎপাদন ব্যয় ও পরিবহন খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এদিকে জেলার সচেতন নাগরিকদের মতে, পাইকারি ও খুচরা দামের এই বৈষম্য কমাতে জেলার প্রধান বাজারগুলোতে হিমাগার স্থাপন করা জরুরি। এতে মৌসুমি অতিরিক্ত সরবরাহের সময় কৃষক ন্যায্যমূল্য পাবেন এবং বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে।
সদরের বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি দামের তুলনায় বেশি দামে সবজি বিক্রি করছেন। তাদের দাবি, যাতায়াত ব্যয়, ঘাটতির সময় সরবরাহের জটিলতা ও বাজারে স্থানভাড়ার কারণে খুচরা পর্যায়ে দাম চড়ছে।
ইজারাদারের পক্ষ থেকে মো. আব্দুল জলিল বলেন, “গত কয়েক দিনের তুলনায় এখন বাজারে সবজির আমদানি বেড়েছে। সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনাও বাড়ছে।”
ক্রেতাদের আশাবাদ, যদি পাইকারি দামের এই ধারা টিকে থাকে, তবে অচিরেই খুচরা বাজারেও সেই স্বস্তি পৌঁছাবে সাধারণ মানুষের ঘরে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...