বিজ্ঞাপন
বায়েজিদ আমীন (২৭) নামের ওই যুবক ঘুঘু ও শালিক—এই দুটি সংরক্ষিত প্রজাতির পাখি শিকার করে রান্না করার ভিডিও নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হওয়ায় তা নজরে আসে প্রশাসন ও বন বিভাগের।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বালিয়াতলী ইউনিয়নের আমতলীপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসীন সাদেক। অভিযুক্ত বায়েজিদ আমীন স্থানীয় বাসিন্দা মো. মাসুম বিল্লাহর ছেলে। আদালত তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সূত্রে জানা যায়, বায়েজিদ প্রায় ২০টি ঘুঘু ও শালিক পাখি শিকার করে রান্না করে খাওয়ার পর সেই ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেন। ভিডিওটি ভাইরাল হলে তাকে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর ৩৮ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসীন সাদেক বলেন, “বন্যপ্রাণী আমাদের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সংরক্ষিত পাখি শিকার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ভবিষ্যতে এমন অপরাধের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযানে কলাপাড়া রেঞ্জের বন কর্মকর্তা মামলার প্রসিকিউশন দাখিল করেন। এছাড়াও, প্রাণিপ্রেমী সংগঠন ‘অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালী’-র সদস্যরাও অভিযানে সহায়তা করেছেন।
স্থানীয় পরিবেশবাদী ও প্রাণিপ্রেমীরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় সচেতনতা জরুরি। তারা মনে করেন, একটি পাখির জীবন বাঁচানো মানে পুরো একটি বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করা। এ ধরনের আইনি ব্যবস্থা মানুষকে প্রকৃতির প্রতি আরও দায়িত্বশীল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...