Logo Logo

জামালপুরে দৃষ্টিহীন নারীর প্রতিবন্ধী ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে


Splash Image

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নারী নিরামনির সরকারি প্রতিবন্ধী ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একই ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন বসাক-এর বিরুদ্ধে।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনা ঘটেছে ২২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে। নিরামনির মা জানান, ওই দিন তিনি ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়িতে যান। সেখানে মেম্বার ভাতা গ্রহণকারীদের তালিকা যাচাই করার সময় তার চোখে পড়ে নিরামনির নাম। এরপর তিনি তালিকায় থাকা মোবাইল নম্বরে ফোন দেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, ফোনটি বাজতে থাকে নিরামনির মায়ের হাতে থাকা ফোনে।

পরবর্তীতে ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ফোনটি তার মায়ের কাছ থেকে নিয়ে পাসওয়ার্ড জেনে কৌশলে অন্য একটি সিমে টাকা স্থানান্তর করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, পরে তিনি নিজের ছেলেকে নির্দেশ দেন, ফোনের ভাতাসংক্রান্ত সকল মেসেজ ও তথ্য মুছে ফেলতে।

নিরামনির মা জানিয়েছেন, এভাবে মেম্বার মোট ১৭,৮০০ টাকা কৌশলে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা বুঝতেই পারিনি টাকা আমাদের ফোনে এসেছে। পরে দেখি সব মেসেজ মুছে দেওয়া হয়েছে। বাজারে এক দোকানদার চেক করে জানায় যে, সত্যিই ওই নাম্বার থেকে টাকা তোলা হয়েছে।”

ঘটনার পর নিরামনির মা ইউএনও অফিসে অভিযোগ করতে গেলে, এলাকার দুজন ব্যক্তি তার কাছে গিয়ে বলেন, “বাড়িতে চলে যান, টাকার ব্যবস্থা আমরা করে দেব।”

এরপর ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন নিজেই বাড়িতে এসে ঘটনার স্বীকারোক্তি দেন এবং বলেন, “আমার ছেলে টাকা নিয়েছে, আমি ফেরত দেব।”

প্রথমে তিনি ৪,০০০ টাকা ফেরত দেন এবং বাকি ১৩,৮০০ টাকার জন্য ৫ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেন।

তবে ৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে টাকা চাইলে ইউপি সদস্য বলেন, “আমি এখন একটু সমস্যায় আছি, আর টাকা দেব না, ১৩,৮০০ টাকা আর চাইবেন না।”

বর্তমানে নিরামনির পরিবার পুরো ১৭,৮০০ টাকা ফেরত এবং ঘটনার ন্যায়বিচার দাবি করছেন।

নিরামনির মা জানান, “আমার মেয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তার নামে সরকারের দেওয়া সামান্য টাকা অন্যায়ভাবে নিয়ে গেলো মেম্বার। আমরা গরিব মানুষ, এই টাকাই আমাদের একমাত্র আশা।”

স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে কোনো দরিদ্র বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এ ধরনের প্রতারণার শিকার না হয়।

প্রতিবেদক- আমিনুল ইসলাম, বকশীগঞ্জ, জামালপুর।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...