ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
এর ফলে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিপাত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সকাল ১০টার দিকে প্রকাশিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিম্নচাপটির প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা—এই চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, "নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে, তবে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এর প্রভাবে দেশে বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।"
আজ সকাল ৬টার অবস্থান অনুযায়ী, নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ২৩০ কিলোমিটার এবং পায়রা বন্দর থেকে ২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এই নিম্নচাপের কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে, যা দমকা হাওয়ার আকারে আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সারাদেশেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে তা আরও বেশি হতে পারে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে এমন হঠাৎ নিম্নচাপ সৃষ্টি ভবিষ্যতে আরও ঘন ঘন দেখা যেতে পারে। তাই উপকূলীয় এলাকার মানুষদের সতর্ক থাকতে এবং আবহাওয়া আপডেট নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।