ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এই সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।
বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার রূপরেখার আলোকে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে মাসব্যাপী এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির সূচনা বক্তব্যে বলেন, “নগরবাসীর সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।”
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তরুণদের রাজনৈতিক ও নীতিনির্ধারণী অঙ্গনে যুক্ত করতে মাসব্যাপী এক ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছিল। চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া ও ঢাকায় সেমিনার ও সমাবেশের মাধ্যমে তরুণদের দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও চিন্তাভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো হয়।
তিনি আরও বলেন, “দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, বিশেষ করে তরুণ সমাজের উপস্থিতি আমাদের এই কর্মসূচিকে সাফল্যমণ্ডিত করেছে। এই উদ্যোগ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র নির্মাণের সংগ্রামে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করেছে।”
ঢাকার সমাবেশে বিপুল মানুষের উপস্থিতির কারণে যে যানজট ও জনভোগান্তি তৈরি হয়, সে বিষয়ে দায় স্বীকার করে মুন্না বলেন, “জনদুর্ভোগ অনিচ্ছাকৃত হলেও আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।” তিনি প্রশাসন, পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে জানান, সমাবেশ শেষে তিনটি সংগঠন যৌথভাবে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান।
এই ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ কর্মসূচি বিএনপির রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দলটি তরুণ প্রজন্মকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে এগিয়ে আনার কৌশল হিসেবে তুলে ধরছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।