ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সংগঠনের সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েল ও সেক্রেটারি মুমিনুল হক এক যৌথ বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘নিন্দনীয়’ ও ‘দুঃখজনক’ বলে আখ্যায়িত করেন।
তবে ছাত্রশিবিরের দাবি, এ ঘটনায় তাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ভিডিও ফুটেজে হামলাকারী হিসেবে যে যুবকের ছবি ভাইরাল হয়েছে, তিনি বর্তমানে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখেন না। তারা দাবি করেন, হামলাকারী আকাশ চৌধুরী একসময় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় এবং তার কর্মকাণ্ডের দায় শিবির নেবে না।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ছাত্রশিবির একটি আদর্শিক ও শান্তিপূর্ণ ছাত্রসংগঠন, যা সবসময় নারী অধিকার ও মর্যাদার পক্ষে অবস্থান নেয়। নারীর প্রতি সহিংস আচরণ তাদের মূলনীতি ও নীতিমালার পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেন নেতারা।
ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে তারা বলেন, প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী নারী যেন যথাযথ আইনগত সহায়তা পান, সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়। নেতারা রাজনৈতিক স্বার্থে ছাত্রশিবিরকে বারবার ‘টার্গেট’ করার প্রবণতাকে নিন্দা জানান এবং সংশ্লিষ্ট মহলকে গুজব ও মিথ্যা প্রচারণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৮ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এলাকায় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট আয়োজিত মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটে। এই মানববন্ধনটি জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রতিবাদ এবং রাজশাহীতে ছাত্রজোটের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজন করা হয়।
হামলায় অন্তত ১৫-১৮ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি রিপা মজুমদার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত বিশ্বাস সিকু এবং অর্থ সম্পাদক সুদীপ্ত গুহ। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, হামলাকারী হিসেবে অভিযুক্ত আকাশ চৌধুরীর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা। পূর্বে শিবিরের রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে কোনো পদে নেই বলে জানিয়েছে জামায়াতের একাধিক সূত্র।