বিজ্ঞাপন
তরুণী আকলিমা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামের চান মিয়ার মেয়ে বলে জানা গেছে।
তরুণী আকলিমা জানান, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ইমুর মাধ্যমে তার সঙ্গে সবুজের পরিচয় হয়। এরপর মোবাইল ফোনে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা চলছে প্রায় ছয় মাস ধরে।
তিনি বলেন, বিয়ের আশ্বাস দিয়েই সবুজ তাকে নিজ বাড়ির ঠিকানা পাঠান এবং তেঁতুলিয়ায় আসতে বলেন। “সবুজ আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই প্রতিশ্রুতিতে ভরসা করেই আমি দূরপাল্লার পথ পাড়ি দিয়ে এখানে এসেছি”—যোগ করেন আকলিমা।
তবে সংবাদ সংগ্রহের সময় পর্যন্ত সবুজ পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে সবুজের মা বলেন, “আমার ছেলে এখনো তেঁতুলিয়া পাইলট স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেবে। সে এমন কাজ করবে—এ ধারণাই করতে পারছি না। আমার স্বামীও বাড়িতে নেই। মেম্বার যা সিদ্ধান্ত দেবেন, আমরা তা মেনে নেব।”
তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকেও অভিযোগ উঠেছে। তার ছোট ভাই বেলাল ফোনে বলেন, বহুবার সবুজকে তার বোনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সবুজ ছয় মাস ধরে সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠিকানা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, “আমার বোনের কোনো ক্ষতি হলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মানিকুজ্জামান। তিনি জানান, “সবুজ দশম শ্রেণির ছাত্র, বয়স এখনো হয়নি। নাবালকের বিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। মেয়েটিকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠানোর চেষ্টা করছি।”
তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, “মেয়ের বয়স ২৩ হলেও ছেলেটি নাবালক। কীভাবে বিষয়টির সমাধান করা যায়—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...