বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মাস্টাররোল তালিকার সঙ্গে ভিজিএফ কার্ডের তথ্যের অমিল ধরা পড়ায় বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
২৯ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে চাল বিতরণের কথা থাকলেও শুরুতেই দেখা যায়, অধিকাংশ কার্ডেই কার্ডধারীর নাম, ঠিকানা কিংবা ক্রমিক নম্বরের উল্লেখ নেই। কিছু কার্ডে আংশিক তথ্য থাকলেও তা মাস্টাররোলের তালিকার সঙ্গে মেলেনি। বিষয়টি শনাক্ত করেন ট্যাগ অফিসার মোজাম্মেল হক, যিনি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে সঙ্গে সঙ্গে বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখেন। ফলে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক দরিদ্র, বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ, চাল না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান।
কার্ডধারীরা জানান, বুধবার রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে কার্ড সরবরাহ করা হয়, যেখানে বলা হয়েছিল বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১০ কেজি আতপ চাল বিতরণ করা হবে। কিন্তু পরিষদে গিয়ে তারা দেখতে পান, মাস্টাররোলের তালিকায় তাদের নাম নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, তারা যে তালিকা পেয়েছেন তা ছিল ঈদুল ফিতরের সময়ের পুরনো মাস্টাররোল। তাদের নিজস্বভাবে তৈরি করা তালিকা জমা নেয়ার কোনো নির্দেশনা দেয়নি ইউনিয়ন প্রশাসন।
ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলোপ্তগীন মুকুল বলেন, তালিকা চাইলে তারা দিতেন, তবে ইউপি সদস্যরা যদি তালিকা বুঝতে না পারেন, তাহলে আগেভাগে ফোন করে জানতে পারতেন। অপরদিকে, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তারেক হোসেন বলেন, কার্ডে ক্রমিক নম্বর না থাকা সচিবের ভুল, সচিবকেই বিষয়টি ভাবা উচিত ছিল। তিনি আরও আশ্বস্ত করেন, বিতরণ এখনো শুরু হয়নি এবং স্বচ্ছভাবে তা সম্পন্ন করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহীন খসরু জানান, মাস্টাররোল ও কার্ডের তালিকায় অমিলসহ একাধিক ত্রুটি পাওয়া গেছে, তাই বিতরণ কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রতিবেদক-মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, পঞ্চগড়।