বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই সময় রাস্তায় অন্তত ৯টি বেওয়ারিশ কুকুর দলবেঁধে ঘোরাফেরা করছিল। এক পর্যায়ে পেছন দিক থেকে করুণ চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান একজন পথচারী ও এক রিকশাচালক। তারা দেখতে পান, কুকুরগুলো আক্রান্ত নারীকে ঘিরে ধরে তীব্রভাবে ঘেউঘেউ করছে এবং কামড়ানোর চেষ্টা করছে। হামলার সময় নারীর পোশাকের একটি অংশ ছিঁড়ে ফেলে কুকুরগুলো। পরে স্থানীয়দের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কুকুরগুলো তাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ভুক্তভোগী নারীকে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়।
ঘটনার পর ওই নারী শারীরিক আঘাতের পাশাপাশি মানসিকভাবেও মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন বলে জানান উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি স্বাস্থ্য সচেতনতার অংশ হিসেবে নিয়মিত সকালের হাঁটাহাঁটির উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ এমন ভয়াবহ ঘটনার শিকার হওয়ায় তাঁর মধ্যে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শাহজালাল উপশহর ও আশপাশের শিবগঞ্জ এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ভোর ও গভীর রাতে কুকুরের দল রাস্তা দখল করে রাখে, যা নারী, শিশু ও বয়স্কদের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি জনমনে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
নাগরিকদের জন্য সতর্কতামূলক পরামর্শ
* মর্নিং ওয়াক বা যেকোনো সময় নির্জন রাস্তায় একা না চলা।
* সম্ভব হলে সঙ্গে সঙ্গী রাখা।
* আত্মরক্ষার জন্য হালকা লাঠি বা স্টিক বহন করা।
* কুকুর দেখলে হঠাৎ দৌড় না দিয়ে শান্তভাবে সরে যাওয়ার চেষ্টা করা।
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত বেওয়ারিশ কুকুর নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশন চাইলে নিয়মিত মনিটরিং, কুকুর ধরার বিশেষ টিম চালু, টিকাদান কর্মসূচি জোরদার এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে বলে মত দিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
তারা বলেন, মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্বের অংশ। জনস্বার্থে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...