বিজ্ঞাপন
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিটকারীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রেশাদ ইমাম ও ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম মূসাসহ জাতীয়তাবাদী প্ল্যাটফর্ম (এনসিপি)-এর আইনজীবীরা রুলের বিরোধিতা করেন।
গত ২৭ নভেম্বর ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)-এর মহাসচিব মোমিনুল আমিন রিটটি দায়ের করেন। রিটে বলা হয়, নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও ভোট করতে হবে নিজ নিজ দলের প্রতীকে—এমন বিধান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর পরিপন্থী। তাই সংশোধিত বিধানটি বাতিলের দাবি জানানো হয়। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে ৩ নভেম্বর সরকার আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করে, যেখানে জোটবদ্ধ দলগুলোর জন্য শরিক দলের প্রতীক ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। অথচ আগে কোনো দল জোটের অংশ হলে শরিক যেকোনো দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ ছিল। গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সংশোধনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
জোট করলেও দলীয় প্রতীকে ভোটের বাধ্যবাধকতা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল বিএনপি। দলটি নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে তাদের মতামত পাঠায়। এছাড়া জোটে যাওয়ার বিষয়ে আগ্রহী অনেক ছোট দলও সরকারের সিদ্ধান্তে অস্বস্তি প্রকাশ করে।
পরে সরকারের পক্ষ থেকে এই বিধান বাতিলের বিষয়ে নীতিগত পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত পাওয়া যায়—এমন খবর চাউর হলে জামায়াতে ইসলামী তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত বিধানটি রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...