বিজ্ঞাপন
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এই যুদ্ধকালীন সময়ে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৫৪ হাজার ৩৮১ জন ফিলিস্তিনি। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে পৌঁছেছে আরও ৬০ জনের মৃতদেহ। আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৪ জনে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপ ও ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকে আছেন। অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে উদ্ধারকারীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না, ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বল্প সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের চুক্তি কার্যকর হলেও ইসরায়েল ১৮ মার্চ তা বাতিল করে হামলা আরও জোরালো করে তোলে। বিমান ও স্থলপথে পরিচালিত এই হামলা এখন গাজাবাসীর জীবনে পরিণত হয়েছে ভয়াবহ এক দুঃস্বপ্নে।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে গাজার প্রায় সকল অবকাঠামো—স্কুল, হাসপাতাল, বাজার থেকে শুরু করে পানির সরবরাহ ব্যবস্থাও।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা অভিযোগ করেছে, গাজাবাসীদের খাদ্য ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে ইসরায়েল। এটি একটি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়, যা নজিরবিহীনভাবে ইতিহাসের পাতা রক্তাক্ত করে তুলছে।
এমন বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একইসাথে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও মামলা চলছে।
মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের এই ঘটনায় বিশ্ব সম্প্রদায় বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেও ইসরায়েলের আগ্রাসন থেমে নেই। বিপরীতে, প্রতিদিন আরও বেশি রক্ত ঝরছে গাজার বুকে।
